করোনার থাবায় এই মুহূর্তে থরহরিকম্প গোটা দেশ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০৩২। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। এর মধ্যে অধিকাংশ মহারাষ্ট্রের। ফলে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। সেই উদ্বেগকে আরও কয়েক গুণ বাড়ে বুধবার সন্ধ্যায় ধারাভি বস্তির এক ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে। এবার তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ধারাভিতে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হল কোভিড ১৯ সংক্রমণে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যাতেই ধারাভিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মৃত্যু হয় বছর ৫৬-র ওই প্রৌঢ়ের। মুম্বইয়ের সিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির পরিবারের ৮ থেকে ১০ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে। আশেপাশের ঘরগুলির কাউকে এখন বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের ধারাভি থেকেই এল দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর খবর। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি বৃহন্মুম্বই পুরসভার সাফাই কর্মী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আশঙ্কা দানা বাঁধছিল মুম্বইবাসীর মনে। কারণ এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভি রয়েছে এখানে। আর এই বস্তিতে প্রায় ১৫ লাখ লোক একসঙ্গে বসবাস করেন। ৬১৩ হেক্টর জুড়ে থাকা এই এলাকায় একবার সংক্রমণ ছড়ালে যে গোটা রাজ্যে হু হু করে বাড়বে গোষ্ঠী সংক্রমণের সংখ্যা সেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরাও। এবং হলও তাই। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ধারাভিতে ২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্ক ক্রমশই বাড়ছে মুম্বইতে।