করোনার থাবায় এই মুহূর্তে থরহরিকম্প গোটা দেশ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত ১৫৯০ জন, মৃত ৪৫। আর সেই মৃতদের মধ্যেই রয়েছে দিল্লীর নিজামুদ্দিন এলাকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ৬ তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। মার্চের প্রথম দিন থেকে দিল্লীর নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সমাবেশে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া থেকে ধর্মপ্রচারকরা এসে জড়ো হয়েছিলেন। যেখানে ওই সব দেশে তত দিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন কেন তাঁদের এ দেশে আসা আটকানো হল না? এবার এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় একটিবভিডিও প্রকাশ করে দিল্লী পুলিশ জানিয়ে দিল, পুলিশের তরফে জানানো সত্ত্বেও করোনা সতর্কবার্তা কানে তোলেননি নিজামুদ্দিনের উদ্যোক্তারা।
প্রসঙ্গত,১৩-১৫ মার্চ সমাবেশ ছিল তবলিঘির। আর সেই তবলিঘি জামাতের ভবন বা মরকজ থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসায় সামগ্রিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। আরও আগেই সরকারি তৎপরতা শুরু হয়নি কেন, সে প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা। পুলিশ যে এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ছিল না, তাদের তরফে আয়োজকদের বোঝানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল, এবার থানার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দিয়ে তা স্পষ্ট করে দিল তারা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, থানার এক অফিসার আয়োজকদের করোনা মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কোনও প্রকার জমায়েত করতে নিষেধ করছেন। যা থেকে পরিষ্কার, পুলিশের কথা কানে না তুলেই নিজামুদ্দিনে ওই ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন আয়োজকরা।