করোনা ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খালি করে দেওয়া হল দিল্লীর নিজামুদ্দিনে তবলিগ-এ-জামাতের অনুষ্ঠান স্থল। শেষ ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২৩৬১ জনকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লীর উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ওই ২৩৬১ জনের মধ্যে ৬১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সিসোদিয়া এদিন টুইটারে লেখেন, ‘প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে মেডিক্যাল স্টাফ, প্রশাসন, পুলিশ ও ডিটিসির কর্মীরা নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের সকলকে আমি স্যালুট জানাই।’
প্রসঙ্গত, আগেই জানা গিয়েছিল যে নিজামুদ্দিনের এই জমায়েতে অংশ নেওয়া ৬ জন তেলেঙ্গানায় মারা গিয়েছেন। তাঁরা সকলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলেই জানা যাচ্ছে। নতুন পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই জমায়েতে অংশ নেওয়া আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে অন্তত আরও ৩০০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে।
আর এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে বাংলা প্রশাসনও। বাংলা থেকে কারা ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন, তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই টুইট করে জানিয়েছেন, ওই সব ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা দেখা হবে এবং বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের সম্পর্কে গৃহীত পদক্ষেপ নিয়েও এদিন এক বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সে হওয়া সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রধানসচিব-সহ অন্যান্য কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়। মূলত, নিজামুদ্দিন ফেরত ব্যক্তিদের বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাইছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে অনেকটাই বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তাও ক্যাবিনেট সচিবকে বিস্তারিত জানান রাজীব সিনহা।