নামেই লকডাউন। এর আগে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দিল্লীর নিজামুদ্দিন মসজিদে হয়েছিল তাবলিগি জামাতের আয়োজনে হওয়া ধর্মীয় সমাবেশ। যার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই মৃত্যু ঘটেছে ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া ৬ তেলেঙ্গানার বাসিন্দা এবং ১ ধর্মপ্রচারকের। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত যোগদানজারীদের মধ্যে আরও ৯১ জন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যখন গোটা দেশ বিচলিত, তবুও হুঁশ ফিরল না একদল মানুষের। দিল্লীর পর এবার একইভাবে লকডাউন উপেক্ষা করে শতাধিক মানুষের জমায়েত হলো রাজস্থানের এক দরগায়। তবে ব্যবস্থা নিতে খুব বেশি সময় নিল না রাজস্থান পুলিশ। লাঠিপেটা করে তাদের বাড়ি পাঠালো নিরাপত্তারক্ষীরা। গ্রেফতাও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার রাজস্থানের আজমির জেলার সারওয়ার শহরের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে দরগায় জমায়েত হয়েছিল প্রায় শতাধিক মানুষ। লকডাউন উপেক্ষা করে এহেন জমায়েতের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মাঠে নামে পুলিশ। রীতিমতো লাঠিপেটা করে ফেরত পাঠানো হয় জমায়েতকারীদের। এছাড়াও লকডাউন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে। জানা গেছে প্রতি বছরই সুফি সম্প্রদায়ের মানুষরা এই ধর্ম সভার আয়োজন করে। এদিন লকডাউন উপেক্ষা করেই সেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।