করোনার থাবায় এই মুহূর্তে থরহরিকম্প গোটা দেশ। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত ১৫৯০ জন, মৃত ৪৫। আর সেই মৃতদের মধ্যেই রয়েছে দিল্লীর নিজামুদ্দিন মসজিদে তাবলিগি জামাতের আয়োজনে হওয়া ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়া ৬ তেলেঙ্গানার বাসিন্দাও এবং ১ ধর্মপ্রচারক। শুধু তাই নয়, ওই ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই প্রচুর মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়িয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যখন গোটা দেশ বিচলিত, ঠিক সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দাঁড়ালেন বৃহত্তর মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশেই। এই একটি ঘটনা দিয়ে ‘মুসলিমদের বদনাম করার সুযোগ’ খুঁজছেন অনেকেই, এমনিটাই মনে করছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই নেতা। তাঁর মতে, হ্যাশট্যাগ দিয়ে যাঁরা ‘তাবলিগি ভাইরাস’ টুইট করছেন সেটা দেশের পক্ষে করোনা ভাইরাসের থেকে আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
কেননা একটি প্রাকৃতিক ভাইরাস একটা সময়ের পর ধ্বংস হয়ে যায়, কিন্তু এই ধরণের বিদ্বেষ বড় ছাপ ফেলে রেখে যায় সমাজে। টুইটারে ওমর লেখেন, ‘এখন #তাবলিগি জামাত কারও কারও কাছে সব জায়গায় মুসলিমদের বদনাম করার জন্যে একটি বড়সড় অজুহাত হয়ে উঠবে, যেন আমরাই করোনা তৈরি করেছি এবং বিশ্ব জুড়ে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছি।’ যদিও তিনি এ-ও লেখেন যে, ‘প্রথম দর্শনে যদিও এটাই মনে হচ্ছে যে এই ঘটনা তাবলিগি জামাতের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপেরই ফল, তবে এটাও ঠিক যে, এই ধরণের সমাবেশ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে ভারতের বেশিরভাগ মুসলমানরাই কিন্তু সরকারি নির্দেশিকাগুলি মানছেন এবং অন্যদের সেই নির্দেশ মেনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন।’ উল্লেখ্য, নিজামুদ্দিনের ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে ৯১ জনের শরীরে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে। তাঁরা ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আযোজিত ওই সমাবেশে যোগ দিয়েই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের ইতিমধ্যেই।