২১ দিনের লকডাউনে গৃহবন্দি গোটা ভারত। এই সময়ে বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টেলিভিশন। কিন্তু অর্থাভাবে যদি কেউ এই সময়ে কেবল টিভির মাসিক টাকা দিতে না পারেন তবে সেই গ্রাহকের কানেকশন আগামী এক মাসের মধ্যে কেটে দেওয়া যাবে না। রাজ্যের কেবল সংস্থাগুলিকে মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি লকডাউন। আপাতত বাড়িতেই কাটছে বেশিরভাগ মানুষের দিন। বন্ধ কল-কারখানা। তাই যাঁরা দৈনিক হিসাবে বেতন পান, তাঁদের কমেছে উপার্জনও। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে কেবল কানেকশন বজায় রাখা বিলাসিতা ছাড়া যেন আর কিছুই নয়। কিন্তু বাইরে বেরোচ্ছেন না। মাঝেমধ্যেই আতঙ্কে সংবাদপত্রও বাড়িতে ঢোকাচ্ছেন না বহু গৃহস্থ। এমতাবস্থায় গোটা দেশ, বিদেশের পরিস্থিতি জানতে পারার একমাত্র মাধ্যম টিভি। তাও শুধুমাত্র টাকার অভাবে যদি বন্ধ থাকে তাহলে বর্তমানে গোটা বিশ্বে কী ঘটছে, তা জানতে পারবেন না আমজনতা। তাই তাঁদের কথা ভেবেই এই নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
মঙ্গলবার মুখ্য সচিব এই নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ২০০৫ সালের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন অনুসারে এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নবান্ন মনে করছে, এর ফলে অনেক গরিব মানুষের সুবিধা হবে। অনেকটা সুবিধা পাবে মধ্যবিত্ত পরিবারও।
করোনা পরিস্থিতিতে উপার্জন বন্ধ অনেকেরই। তাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই যে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলি উপকৃত হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।