সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার বাসিন্দা এক যুবক হাসপাতালে মারা যান। ডাক্তারদের সন্দেহ, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। সেইমতো তাঁর লালারস পরীক্ষা করা হয়েছিল। আজ সেই পরীক্ষার ফলাফল দেখে ডাক্তাররা বলছেন, তিনি সত্যিই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালের জেনারেল বেডে রাখা হয়েছিল। তাঁর থেকে অন্যান্য রোগীদের দেহে ওই রোগ সংক্রামিত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
ওই যুবক যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তা গোরখপুর শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ২৮ মার্চ যুবকের আত্মীয়রা তাঁকে হাসপাতালে আনেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু তিনি যে মুম্বইতে গিয়েছিলেন, সেকথা জানানো হয়নি। তাঁকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখায় সেখান থেকে হাসপাতালের কর্মী ও অন্যান্য রোগীর সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পরে উত্তরপ্রদেশ সরকার খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, কিছুদিন আগে তিনি মুম্বইতে গিয়েছিলেন।
মৃত যুবকের বয়স ছিল ২৫। উত্তরপ্রদেশে করোনাভাইরাসে তাঁরই প্রথম মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ার কিছুদিন আগে তিনি মুম্বই গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে সেকথা গোপন করেন। সেজন্যই তাঁকে জেনারেল বেডে রাখা হয়েছিল।