নিজামুদ্দিনে হওয়া বিপুল জমায়েতকে ঘিরে বর্তমানে উত্তাল গোটা ভারত। এখনও পর্যন্ত এই জমায়েতে থাকা ১২৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। আর এই নিজামুদ্দিনেই নাকি গিয়েছিলেন আসামের প্রথম করোনা আক্রান্ত। মসজিদের অনুষ্ঠানে না গেলেও ওই এলাকাতেই ছিলেন তিনি। আসামে ফেরার পর তাঁর শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর তাঁকে পরীক্ষা করাতে বললেও তিনি নাকি সেটিও করাননি। আর এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা আসামে।
জানা গেছে, আসামের করিমগঞ্জ জেলায় একটি মাদ্রাসা চালান ৫২ বছরের ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি দিল্লীর জামা মসজিদ ও নিজামুদ্দিন এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। গুয়াহাটি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জের এই ঘটনায় চিন্তায় প্রশাসন। বর্তমানে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনিতেই তাঁর শরীরে ডায়াবেটিস ও ক্যানসার রয়েছে। রবিবার রাতে জ্বর ও সর্দি নিয়ে সেখানে ভর্তি হন তিনি। তবে বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে ৫ মার্চ দিল্লী যান ওই ব্যক্তি। সেখান থেকে জামা মসজিদ ও নিজামুদ্দিনে যাওয়ার পর ১০ মার্চ গুয়াহাটিতে নিজের বাড়িতে ফেরেন তিনি। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকার পরে ১৩ মার্চ রাজধানী এক্সপ্রেসে করে করিমগঞ্জের বদরপুরে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে নাকি তাঁর দুই ছেলেও দিল্লী গিয়েছিলেন। পরিবারের ছয় সদস্যকেই বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
করিমগঞ্জের ডেপুটি কমিশনার এম পি আন্নামুথন জানিয়েছেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তির ট্রাভেল হিস্ট্রি আরও বিশদে জানার চেষ্টা করছি। রেল দফতরকেও খবর দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের প্রত্যেকের খোঁজ পাওয়া দরকার। গুয়াহাটিতে ফিরে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে তিনি গিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা খোঁজ শুরু করেছি।’