করোনা ভাইরাসের জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে বার্সেলোনা। এই সময়ই কিংবদন্তি লিয়োনেল মেসির মানবিক রূপ দেখা গেল। তিনি ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের বেতন ৭০ শতাংশ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং এই মহানুভবতায় আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা পাশে পেলেন তাঁর সতীর্থদের। পাশাপাশি একদম উল্টো ছবি জুভেন্টাসে। করোনা-আগ্রাসনে ইটালির সেরা ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থা এই মুহূর্তে এতটাই খারাপ যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হতে পারে।
মেসি লিখেছেন, ‘‘ক্লাবের অনেকেই এ’কদিন আমাদের অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রেখে চাপ সৃষ্টি করছিল। ওরা যেটা চেয়েছিল, আমরা কিন্তু সেটাই করতে যাচ্ছিলাম। ওদের ব্যবহারে আমরা অবাকই হয়েছি। এটা ঘটনা যে আমরা এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করেছি। তার কারণ একটাই। আমরা চেষ্টা করছিলাম ক্লাবকে সাহায্য করার সেরা রাস্তাটি বার করতে। শুধু ক্লাব নয়, এই রকম কঠিন একটা সময় ক্লাবের কর্মীদেরও পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বেতনের ৭০ শতাংশ কম নিচ্ছি কর্মীরা যাতে ওদের পুরো ১০০ শতাংশ বেতনই হাতে পান তার জন্য।’’
ইউরোপের প্রথম সারির সব দৈনিকে দারুণ ভাবে প্রশংসিত হয়েছেন মেসি। ফ্রান্সের এক বিখ্যাত পত্রিকা তাঁর সঙ্গে তুলনা করল মেসির দেশেরই বিপ্লবী নেতা চে গেভারার।
এ দিকে, পর্তুগিজ তারকা রোনাল্ডোকে যে জুভেন্টাস বিক্রি করে দিতে পারে সে সম্ভাবনার কথাই লেখা হচ্ছে ইটালির কাগজগুলোতে। অবশ্য র্পতুগিজ তারকা আগামী চার মাসের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু রোনাল্ডো নন, একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবের ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি। তাতে ক্লাবের প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকার মতো বেঁচে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরেও জুভেন্টাস আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে কি না তা নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে।