গত বছর আগস্টেই ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মিশিয়ে চারটি বড় ব্যাঙ্ক গঠনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সেই মতই আজ ১ এপ্রিল থেকে শুরু হল নতুন আর্থিক বর্ষ। আর আজ থেকেই ছ’টি ব্যাঙ্ক তাদের অস্তিত্ব মিশিয়ে দিল চারটি ব্যাঙ্কের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী সক্ষম হয়ে ওঠার উদ্দেশ্যেই এই একত্রীকরণ বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।
ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া মিশে গেল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে, সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক মিশল কানাড়া ব্যাঙ্কে এবং অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক নিজেদের অস্তিত্ব মুছে পরিণত হল ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের মানচিত্র থেকে মুছে গেল এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের নামও। আজ থেকে তাদের অস্তিত্ব টিঁকে থাকবে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের মধ্যেই। এই একত্রীকরণের ফলে নতুন অর্থবর্ষ থেকে সারা দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সংখ্যা দাঁড়াল ১২। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সারা দেশে কোভিড–১৯ সংক্রমণ প্রতিহত করতে যে লকডাউন চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই একত্রীকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা মোটেই সহজসাধ্য নয়। যদিও ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তারা সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সুসম্পন্ন করার বিষয়ে যথেষ্ট আস্থাশীল বলেই জানা গিয়েছে।
‘আমরা কোনও সমস্যা দেখতে পারছি না। গোটা প্রক্রিয়াটি পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে। সময়ের (লকডাউন) বিষয়টিও আমরা পর্যালোচনা করেছি। গ্রাহক এবং কর্মীদের যাতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কিছু পরিবর্ধন করেছি। সামান্যতম সমস্যাও হবে না এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।’ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজকিরণ রাই জি। এই একত্রীকরণের ফলে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’র পরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্কের শিরোপা জুটল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের। এই প্রসঙ্গে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এস মল্লিকার্জুন রাও জানান, ‘আমরা অত্যন্ত ভালো ভাবে পরিকল্পনা করেছি এবং আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ব্যাঙ্ক একত্রীকরণের ফলে দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকদের পরিষেবা সম্পূর্ণ অব্যাহত থাকবে।’