গত সপ্তাহ থেকেই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয়েছিল করোনার চিকিৎসা। তবে আজ প্রায় এক সপ্তাহ পর আবার সাধারণ রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতলে। বুধবার সকাল থেকেই এই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। চালু করা হয়েছে ক্যান্সারের কেমো নেওয়ার জন্য ডে কেয়ার। এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু এবং রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে একইসঙ্গে আবার খুলে দেওয়া হয়েছে আউটডোর পরিষেবাও।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগে প্রতিদিন আউটডোরের টিকিট বিক্রি হত দিনে ৪ থেকে ৬ হাজার। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ৩০ থেকে ৩৫ টি। হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস এবিষয়ে বলেন, ‘আমরা জরুরী পরিষেবা চালু রেখেছিলাম। কিন্তু ভর্তি নেওয়া বন্ধ ছিল। আজ কলেজ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জরুরী অবস্থায় কেউ এলে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হবে এমার্জেন্সিতে। আউটডোর পরিষেবাও চালু থাকছে।’
প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার। তার জেরে খালি করা হয়েছিল হাসপাতাল। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয়েছে অন্যান্য হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংকে করোনা মোকাবিলার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক ছাঁচে। বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ বহির্বিভাগের পরিষেবা। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েন নানা জায়গা থেকে আসা রোগীরা।
এই অবস্থার সমাধানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক বসে। কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যতদিন না পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনা পজেটিভ কোনও রোগী আসছেন ততদিন চালু থাকবে হাসপাতালের সব জরুরি বিভাগ। তবে সেখানে গত কয়েকদিনে টিকিট বিক্রি কমেছে। এখন সারাদিনে সব বিভাগ মিলে ৩০ থেকে ৪০ টি টিকিট ইস্যু হয়। তবুও আমরা পরিষেবা নিত্যদিন চালু রাখছি। এদিকে চিকিৎসকরাও সময়মতো থাকছেন।