মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে তাঁর দেশেও মৃত্যু মিছিল। এই পরিস্থিতিতেও খোরামশাহরে গৃহবন্দি মজিদ বেশকারের মন পড়ে আছে ভারতে। ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের প্রাক্তন তারকা জানালেন, গৃহবন্দি থাকলেও বিশ্বজুড়ে এই মৃত্যুমিছিল থামার অপেক্ষায় তিনি। ইরানে মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
রবিবার সকালে মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমেই জানতে চান, ‘‘ভারতের এখন কী অবস্থা? কলকাতায় কি কেউ আক্রান্ত হয়েছেন? আমার প্রাক্তন সতীর্থেরা সবাই ঠিক আছে তো? আসলে ইন্টারনেটে আমি খুব একটা স্বচ্ছন্দ নই। টেলিভিশন আর রেডিয়োর খবরই ভরসা। কিন্তু ভারতের কোনও খবর ইরানে বসে পাওয়া কঠিন। তাই খুব চিন্তায় আছি।’’
করোনায় আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে শুনে হতাশ ময়দানের বাদশা বললেন, ‘‘এই মৃত্যু মিছিল যে কবে থামবে, কে জানে। সামনের বছর আমার প্রিয় শহর কলকাতায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। জানি না আদৌ যেতে পারব কি না।’’
মজিদ আরও জানান, গৃহবন্দি হয়ে থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আর ওষুধের দোকান যেতেই হচ্ছে। তিনি জানান, ‘‘সামনেই আমাদের নববর্ষ। এই সময়টাতেই ব্যবসায়ীরা লাভ করেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে সকলের খুব খারাপ অবস্থা। আমাদের ব্যবসাও বন্ধ।’’
এ দিকে, লকডাউনের অমান্য করে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন বলে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই অবসর সময় কাটাতে তিনি বই পড়ছেন, টেলিভিশনে খেলা দেখছি, আর মাঝেমধ্যে হিন্দি গানও শুনছেন।