করোনার প্রকোপে এই নিয়ে বাংলায় মৃত্যু হল দু’জনের। দমদমের বৃদ্ধের পর রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ৪৫ বছরের এক মহিলা। রবিবার রাতেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকা এই মহিলা। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর নয়া চিন্তা ভাবাচ্ছে তাঁর পরিজনেদের। মহিলার শেষকৃত্য কোথায় হবে!
করোনা আক্রান্ত রোগীর সৎকার করতে হবে ধাপা বা পূর্ব কলকাতার বাগমারি কবরস্থানে। দমদমের বৃদ্ধের মৃত্যুর পর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে। তবে সমস্যা হল উত্তরবঙ্গে কোনও ধাপার মাঠ নেই। ফলে মহিলার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হলে কি এবার তাঁর দেহ কলকাতায় ধাপার মাঠে নিয়ে আসা হবে? সেক্ষেত্রে যে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হবে সেই গাড়ি থেকেও ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাহলে স্থানীয় প্রশাসন এখন কী পদক্ষেপ নেবে সেই নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
করোনায় মৃতকে ইলেক্ট্রিক চুল্লিতে পোড়ালে তার থেকে ভাইরাস বাতাস ছড়ায় না, একথা জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে এই মারণ ভাইরাস নিয়ে মানুষের আতঙ্ককে চট করে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মহিলাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেবে শোকের মহলেও সেই দিকেই তাকিয়ে মৃতার পরিবার।
প্রসঙ্গত, দমদমের বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। নিমতলা শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা হুজুগের বশে ঝামেলা বাধায়। তাদের ধারণা ছিল, করোনায় মৃত রোগীর দেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ালেও নাকি আশেপাশের বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে সেই মারণ ভাইরাস। তাই তারা ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে বৃদ্ধের দেহ।