করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই খেলাই আপাতত স্থগিত। অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘরোয়া সকল ফুটবল স্থগিত করেছে ইতালি। গত ৯ মার্চ থেকে স্থগিত সিরি-এ। ইউরোপে করোনা মহামারীর প্রভাব সব থেকে বেশি ইতালিতেই। ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন এই দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের তালিকা থেকে বাদ পড়েননি ফুটবলাররা। জুভেন্তাসের তিন ফুটবলার ড্যানিয়েল রুগানি, ব্লেইস মতৌদি ও পাওলো ডায়বালা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই অবস্থায় ক্লাবের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ফুটবলাররা। রোনাল্ডোরা ঘোষণা করলেন আগামী ৪ মাসের বেতন নেবেন না।
করোনা ভাইরাসের জেরে থমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। বন্ধ সব খেলা। এমনকী, অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুশীলনও স্থগিত। সব ক্রীড়াবিদরাই রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। এই অবস্থায় ইউরোপের প্রায় সব ফুটবল ক্লাবই বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যা সামাল দিতে অনেক ক্লাবই ফুটবলারদের কাছে বেতন কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ফুটবলাররাও রাজি ক্লাবের প্রস্তাবে। যার প্রথম উদাহরণ জুভেন্তাস। ইতালির সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্লাবের ডাকে সারা দিয়ে চার মাসের বেতন না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, চেলিনিরা। এই চার মাসে কোচ ও খেলোয়াড়দের বেতন থেকে কাটা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ মিলিয়ন ইউরোর মতো। সেটা দিয়ে ক্লাব কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে জুভেন্তাস। এর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একাই ত্যাগ করছেন ৩.৮ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩২ কোটি টাকা বেতন কম নেবেন সিআর সেভেন।
ক্লাবের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে যে কঠিন পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে, সেই কথা মাথায় রেখে ক্লাবের প্রথম সারির ফুটবলার ও কোচেরা মরশুমের বাকি সময়ের বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেহেতু মরশুমের এখনও চার মাস বাকি রয়েছে তাই মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বেতন তাঁরা নেবেন না। ফলে ২০১৯-২০ মরশুমের চুত্তির ভিত্তিতে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ইউরো অর্থ ক্লাবের থেকে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই টাকা দিয়ে ক্লাবের বাকি কর্মচারি বেতন ও অন্যান্য ফি মেটানো হবে।’