রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০ কোটির ফান্ড থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ সবটাই নিজের হাতে দায়িত্বে নিয়ে করেছেন তিনি। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন করে একটা ত্রাণ তহবিল এবং হেল্পলাইন নম্বর চালুর কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর তারপরই সেই ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদানের কথা ঘোষণা করে নিজের দলের সাংসদদের বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় দলের প্রত্যেক সাংসদ (রাজ্য সভা ও লোক সভা) সদস্যরা যেন তাঁদের ত্রাণ তহবিল থেকে নিজেদের এলাকায় নূন্যতম ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেন।
সেই অনুরোধের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শাসক দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, দলের ২২ জন সাংসদ নিজেদের সংসদীয় এলাকার জন্য জেলা শাসকের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা করে করোনা মোকাবিলায় আর্থিক অনুদান দেবেন। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায় এবং প্রতিমা মণ্ডল অবশ্য আগেই করোনা মোকাবিলায় ১ কোটি করে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। এবার বাকি সংসদেরাও সেই পথেই হাঁটছেন। করোনা মোকাবিলায় সাংসদদের এই ধরনের সাহসী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের তরফ থেকে জানানো হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদের মিলিত আর্থিক অনুদানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সেই অর্থ করোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড, কয়ারেন্টিন সেন্টার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ব্যবহৃত হবে।