যেন আর পাঁচটা সাধারণ দিন, নির্ভেজাল ছুটির সপ্তাহান্ত। দেশজুড়ডে লকডাউনের চতুর্থ দিন সকালে কলকাতার বিভিন্ন রাস্তার ছবি তেমনটাই। রাস্তার দু’ধারে জমিয়ে বসেছে বাজার – ফুল, ফল, সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস কিছু বাদ নেই। চার, পাঁচদিনের খরা কাটিয়ে সপ্তাহান্তের সকালে দু, একটা চায়ের দোকানও খুলে বসেছে। যদি নিত্যদিনের ক্রেতাদের দেখা পাওয়া যায়, এই আশায় হয়ত বা। লকডাউনের দিনেও এভাবে দোকান, বাজার খুলে বসলে ক্রেতাদের অভাব হয় না। হলোও না। উত্তর কলকাতার বাগমারি বাজার তাই এই দিনেই ভিড়ে ঠাসা। ন্যূনতম দূরত্বও বজায় রাখেননি কেউ।
যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পথে নেমে, বাজার ঘুরে, গণ্ডি কেটে হাতে ধরে শিখিয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দূরত্বের বাস্তব হিসেব, সেখানে কেন এই ছবি? কেন সামান্য একটু দূরে দাঁড়াচ্ছেন না কেউ? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। বোঝাই যাচ্ছে, লকডাউন করে অনেককেই ঘরে আটকে রাখা যাচ্ছে না, যাবেও না। এরই উলটো ছবি, দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় চক্রবৃদ্ধি হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিসংখ্যানও কি এঁদের সতর্ক করতে পারছে না? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।