নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আগেই রুখতে কলকাতা-সহ সারা দেশের ৭৫টি জেলায় লকডাউন প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো লকডাউন জারি করেছিল রাজ্য। তারপর গত মঙ্গলবারই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে এসে গোটা দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারির ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তথা ‘সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বিধি নিষেধ’-এর আওতা থেকে কী কী ছাড় পাচ্ছে রাজ্যে, সে তালিকা আগেই প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। ওই সব জরুরি পণ্য ও পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কী ভাবে অবাধে যাতায়াত করতে পারবেন, সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল সেই বিষয়েও। দুটো বিষয়কে মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ফের নতুন অখণ্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। কয়কেটি নতুন বিষয়ও এ দিন ছাড়ের আওতায় এল।
আগের মতোই এই বারও জানানো হয়েছে, লকডাউনের সময় হাসপাতাল, দমকল, পুলিশের মতো জরুরি পরিষেবা-ব্যবস্থা চালু থাকবে। ব্যাঙ্কিং জরুরি পরিষেবা হওয়ায় তার ওপর লকডাউন জারি হয়নি। অন্যদিকে, লকডাউন ঘোষণা হলেও এর থেকে দুধ, সবজি, পানীয় জলের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যকে বাদ রাখা হয়েছে। এমনকী, মুদি দোকান, মাছ, মাংসের মতো দোকানপাটও খোলা থাকবে। তাই মজুতের কোনও প্রয়োজন নেই। লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে পেট্রল পাম্প।
এছাড়া স্পষ্ট বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা, আদালত এবং সংশোধনাগার ব্যবস্থা, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী এবং বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবা, বিদ্যুৎ, জল এবং জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবা, দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা, টেলিকম, ডাক ব্যবস্থা, ইন্টারনেট, তথ্য প্রযুক্তি, খবরের কাগজ ও বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কারখানা, মুদিখানা, সবজি, ফল, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ ও তার পরিবহণের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সরকার অথবা নিয়োগকারীর দেওয়া পরিচয় পত্র দেখালে ছাড় মিলবে অনায়াসে।