লকডাউনের জেরে দেশ জুড়ে সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো। তা ছাড়াও সঙ্কটের মুখে পড়লেন পশুপালকরা। বিশেষ করে যাঁদের জীবিকা গরু, মোষ প্রতিপালন করা। গোখাদ্য জোগাড় করা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই রাজ্য গাভী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে এই সঙ্কট মোকাবিলার আবেদন জানানো হয়েছে।
রাজ্যের গাভী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বাপ্পাদিত্য ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের জেরে গোয়ালাদের দুধ সাধারণ মানুষ আর নিতে চাইছেন না। ফলে তাঁরা চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি যে সমস্ত দুধের সেণ্টারগুলি চালাচ্ছিল, সেগুলিও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক সেণ্টার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুধের জোগান থাকলেও চাহিদা না থাকায় তা নষ্ট হচ্ছে। একদিকে মিষ্টির দোকানও বন্ধ, তাই দুধের চাহিদাও হচ্ছে না।
অন্যদিকে, গোখাদ্যের আমদানি আপাতত বন্ধ। এমন চলতে থাকলে অচিরেই গরু, মোষ খাবার না পেয়ে মরতে শুরু করবে। কারণ, দুধ বিক্রি না হলেও গবাদি পশুকে নিয়মিত খাবার জুগিয়ে যেতে হবে। গোখাদ্য মূলত বাইরে থেকে আসে এইরাজ্যে। গাড়ি বন্ধ থাকায় আপাতত আমদানি হচ্ছে না গোখাদ্য। গোয়ালাদের অনেকেই প্রতিদিন এই দুধ বিক্রি করেই সংসার চালান। করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুধের বিক্রি তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তাঁরা।