লকডাউনের মধ্যে দুধ কিনতে বেরনোর ‘শাস্তি’। পুলিশের মারে মৃত্যু হল এক যুবকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের বানিপুর এলাকায়। যদিও গোটা বিষয়টি ভিত্তিহীন, বাথরুমে পড়ে যাওয়াতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা লাল স্বামী নামে বছর ৩১ -এর ওই যুবক।
বুধবার সন্ধেয় দুধ কিনতে বেড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর পথ আটকায়। এরপর রাস্তায় জটলা তৈরি হতেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। গুরুতর জখম হন লাল। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি পুলিশের। এ প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ রাজ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই যুবক অসুস্থ ছিলেন।
এরমধ্যে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন তাতেই গুরুতম জখম হন। পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি।’
প্রসঙ্গত, করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব। এদেশেও থাবা বসিয়েছে মারণভাইরাস। ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর হারও উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি যাতে জটিল না হয় তাই আগে লকডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকারগুলি। পরে কেন্দ্রের তরফে দেশে জারি হয় লকডাউন। পরিবারের স্বার্থে আগামী ২১ দিন সকলকে ঘরে থাকার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।