লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরানোয় পুলিশের লাঠিচার্জ, আর তাতেই নাকি মৃত্যু সাঁকরাইলের যুবকের। মৃতের পরিবারের তরফে এমনই অভিযোগ উঠেছিল বুধবার রাতে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। তবে এবার মৃতের মেডিক্যাল রিপোর্টেই উঠে এল আসল সত্য।
পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে সাঁকরাইলের বাণীপুরের রাজগঞ্জ এলাকায় ৩২ বছর বয়সী লাল স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা অস্বীকার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে পাওয়া গেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই যুবকের হার্টের সমস্যা ছিল। আর সেই সমস্যার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়। পুলিশকে দোষারোপ করতে থাকেন সবাই। যদিও, এদিন যে মেডিক্যাল রিপোর্ট এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক ডায়েরিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যাও ছিল। আর তাঁর কারণেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে যে অভিযোগ ওঠে, এদিন তা নস্যাৎ হয়ে যায় মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে আসায়।
উল্লেখ্য, বুধবার লকডাউনের প্রথম দিন গোটা দেশের পাশাপাশি এই এই রাজ্যেও পুলিশ সক্রিয় ছিল। কোথাও জমায়েত দেখলে পুলিশ সবাইকে বাড়ি যাওয়ার অনুরোধ করে। অনেক জায়গায় পুলিশের সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে চলতে থাকে জমায়েত। যার ফলে পুলিশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করতে হয়।