করোনার জেরে পিছিয়ে গেল অলিম্পিক। অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় দীপা কর্মকারের সামনে টোকিওর দরজা খুলে যাওয়ার একটা সুযোগ তৈরি হল।
অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ার পরে দ্রোণাচার্য কোচের সঙ্গে বুধবার সকালে দীপার কথা হয়েছে। সেই কথার সূত্র ধরে বিশ্বেশ্বর নন্দীর মন্তব্য, ‘আশা করি, তিনটি কোয়ালিফিকেশন পাব। যদি দীপা সবদিক থেকে ফিট হতে পারে। তাহলে একটা মরিয়া চেষ্টা করা যেতেই পারে। দীপা এখন ভল্টে সাত নম্বরে। এই জায়গাটা আমাকে স্বস্তি দেয় এখনও।’
বর্তমানে ঠিক কী অবস্থায় রয়েছেন রিও অলিম্পিকের সেনসেশন দীপা? আগরতলা থেকে ফোনে দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর জবাব, ‘অনেকটা সময় পাওয়া গিয়েছে। এটুকু বলতে পারি, দীপা একেবারে চোটমুক্ত। ফেব্রুয়ারির থেকে পুরোদমে প্র্যাক্টিস শুরু করেছে। তবে এখন দীপার মূল সমস্যা মানসিক। চোট-আঘাতে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। দরকার একজন মনোবিদের। যাঁকে আগরতলাতে এনে কাজ করতে গেলে বিশাল টাকার ধাক্কা। দ্বিতীয়ত, দরকার রিহ্যাব স্পেশালিস্টের। এগুলোই কী করে করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করছি।’
টোকিও অলিম্পিকে দীপাকে পাওয়া যাবে না, ধরেই নেওয়া হয়েছিল। আবার কেউ কেউ বলছিলেন, ‘দীপা শেষ। আর কিছু হওয়ার নেই।’ দ্রোণাচার্য কোচ বললেন, ‘দশ বছরের মধ্যে দেশের কোনও কোচ দ্বিতীয় দীপাকে তুলে দেখাক। তারপরে অন্য কথা।’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ছয় মাস সময় পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে দীপাকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সুযোগটা এসে গিয়েছে।’