বুধবার থেকে ভারতে শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের লকডাউন। অর্থনৈতিক কার্যকলাপ থমকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ত্রৈমাসিকে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি আগের চেয়ে কমবে। দুই দশকে এই প্রথম কমবে জিডিপি। সামগ্রিকভাবে চলতি বছরের অর্থনৈতিক বিকাশেই ছাপ ফেলবে এই লকডাউন। ডয়েশ ব্যাঙ্ক এজি-র অর্থনীতিবিদরা এমনই আশঙ্কা করছেন।
ভারতে যে তিন সপ্তাহ লকডাউন চলবে, তার দু’সপ্তাহই হবে এপ্রিলে। অর্থনীতিবিদ প্রকাশ সকপাল জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে জুন অবধি যে ত্রৈমাসিক, সেখানে জিডিপি কমবে পাঁচ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপির বিকাশ হয়েছিল ৪.৭ শতাংশ হারে।
সকপাল জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে কমবে বেসরকারি চাহিদা। অন্তত এক সপ্তাহ ধরে কেউ অত্যাবশ্যক পণ্যের বাইরে কিছু কিনবেন না। ফলে জিডিপি কমতে পারে এক শতাংশ। আগে ভাবা হয়েছিল, এপ্রিল থেকে যে নতুন আর্থিক বছর শুরু হচ্ছে, তাতে জিডিপি বিকশিত হবে ৪.৮ শতাংশ হারে। কিন্তু করোনাভাইরাসের অতিমহামারীর পরে মনে হচ্ছে বিকাশ হবে .০৫ থেকে এক শতাংশ কম।
ডয়েশ ব্যাঙ্কের চিফ ইকনমিস্ট কৌশিক দাসের আশঙ্কা, এপ্রিল থেকে জুন অবধি ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি-র বিকাশ হবে ঋণাত্মক। এমনকি জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকেও জিডিপির ঋণাত্মক বিকাশ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
মুম্বইয়ে বার্কলে পিএলসি-র অর্থনীতিবিদ রাহুল বাজোরিয়া বলেন, লকডাউনের ফলে উৎপাদন কমবে দুই শতাংশ। ২০২০ সালে জিডিপি ৪.৫ শতাংশ হারে বিকশিত হবে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, বিকাশ হবে ২.৫ শতাংশ হারে। ব্লুমবার্গের ধারণা, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে জিডিপি-র বিকাশ হবে ২.৭ শতাংশ। সারা বছরে জিডিপি বিকশিত হবে ৪.৩ শতাংশ হারে।