করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে এবার এগিয়ে এলেন খেলোয়াড়রা। করছে অর্থসাহায্য। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মেসি ও পেপ গুয়ার্দিওলা ৮ কোটি ২৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা করে দান করলেন। আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং তাঁর এজেন্ট হর্হে মেন্দেস দায়িত্ব নিলেন তাঁদের দেশ পর্তুগালের হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করার। পিছিয়ে নেই কিংবদন্তি টেনিস তারকা রজার ফেডেরারও। তিনি আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৭ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৪৪ টাকা দেবেন বলে জানিয়েছেন। ফেডেরার অবশ্য একা অর্থ দিচ্ছেন না। এই অঙ্কের অনেকটা দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী মিরকাও।
ফেডেরারের দান করা অর্থ কিন্তু পাবেন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে শুধু তাঁরাই, যাঁদের চিকিৎসার খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই। টেনিস কিংবদন্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমরা সবাই কঠিনতম পরীক্ষার সামনে। করোনা অতিমারির থাবা হয়তো কাউকে ছাড়বে না। আমি আর মিরকা তাই একসঙ্গে এক মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ দিচ্ছি সুইৎজ়ারল্যান্ডে অর্থনৈতিক ভাবে সুরক্ষিত নয় এমন সব পরিবারকে। আমরা শুধু শুরুটা করলাম। আশা করি অন্যরা আরও অনেক দরিদ্র পরিবারের পাশে থাকবেন। সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারলে নিশ্চয়ই এই সংকট আমরা কাটিয়ে উঠব। সবাই সুস্থ থাকুন। এটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনা।’’
রোনাল্ডো লিসবনের সান্টা মারিয়া হাসপাতালে জটিল চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। সেখানে ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইফিউশন পাম্প থেকে সিরিঞ্জ— সবই সরবরাহ করবেন পর্তুগিজ তারকা। পোর্তোতেও একটি হাসপাতালে ১৫ শয্যার ওয়ার্ড তৈরি করেছেন তিনি। সেখানেও সব চেয়ে প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর ইত্যাদি সরঞ্জাম থাকবে। এই দুই হাসপাতালের তরফ থেকেই রোনাল্ডো এবং তাঁর এজেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের অন্য অনেক দেশের তুলনায় পর্তুগালে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল এখনও পর্যন্ত ২,৩৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন।
মেসির দেওয়া অর্থ বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার একটি করে হাসপাতালে খরচ করা হবে। বার্সেলোনার হাসপাতালের পক্ষ থেকে টুইট করে আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিকে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে। গুয়ার্দিওলার দেওয়া অর্থ পেয়েছে বার্সেলোনার মেডিক্যাল কলেজ এবং সেখানকার একটি ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব রকমের প্রচার এবং সেবামূলক কাজ করছে। এমনকি তহবিলও গড়েছে।