২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল টোকিও অলিম্পিক্সের। কিন্তু করোনাভাইরাসের আক্রমণে বাধ্য হয়ে তা পিছিয়ে দিলেন সংগঠকরা। টোকিও অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ার পরে এটাই ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সার্বিক মনোভাব যে, ‘জীবন সবার আগে। আমরা অপেক্ষা করতেই পারি’। অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাইনা নেহওয়াল থেকে বজরং পুনিয়া।
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা পাওয়া শুটার রাহি সর্নোবাত এক দিক দিয়ে স্বস্তি পেয়েছেন অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ায়। কারণ, করোনা-আতঙ্কের জেরে তাঁর প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটছিল। রাহি বলেছেন, ‘‘ট্রেনিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের তৈরি হতে আরও তিন-চার মাস সময় লাগবে। তাই আমরাও চেয়েছিলাম, অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাক”।
পুনিয়ার কথায়, ‘‘অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা একেবারে ঠিক। মানসিক ভাবে সবাই খুব বিপর্যস্ত হয়ে আছে। ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যকে তো গুরুত্ব দিতেই হবে। কেউ ঠিক মতো ট্রেনিং করতে পারছিল না। আর এটা তো শুধু ভারতের জন্য নয়, পুরো বিশ্ব সম্পর্কেই খাটে। এই করোনা অতিমারির মধ্যে আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে।’’
ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক্স পিছিয়ে যাওয়ায় আমি খুশি হয়েছি। আমরা কয়েক জন এখনও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা পাইনি, তাই দেখতে চাই, যোগ্যতা পাওয়ার নিয়মটা শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়। প্রথমে তো আমাদের নিরাপদে থাকতে হবে, তার পরে না হয় প্রস্তুতি নিয়ে ভাবব।’’