লকডাউনের মধ্যে মুদিখানার দোকান, সবজি বাজার, রেশন দোকান প্রভৃতি খোলা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আগে থেকে জিনিস কিনে রাখার তাড়ায় একসঙ্গে সবাই সেইসব দোকানের বাইরে ভিড় জমাচ্ছেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের তোয়াক্কা না করেই জটলা তৈরি হচ্ছে। আর সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে দোকানের বাইরে দাঁড়াতে হবে সেটা এঁকে দেখিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রোজই নবান্নে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন। সেখানে একটি সাদা বোর্ডে মার্কার দিয়ে এঁকে বোঝান, বাজারে গেলে কতটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে একে অন্যের থেকে। প্রথমে একটি বাক্স এঁকে এক কোণে পাঁচটা গোলগোল বৃত্তাকার কিছু একটা আঁকলেন। বলে বুঝিয়ে দিলেন ওরা বিক্রেতা। তার থেকে দূরত্ব তো বজায় রাখতেই হবে। পাশাপাশি যারা কিনবেন, তাদেরকেও একজন আরেকজনের থেকে তফাৎ হয়ে দাঁড়াতে হবে। লক্ষ্য রাখবে, কেউ যেন কাউকে স্পর্শ না করে। বলেন মমতা।
এদিনের বৈঠক শেষে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান মমতা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি যেন না আটকানো হয় বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে খাবারের হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য পাস বিলি করা হবে বলে জানান মমতা। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি করেন। নবান্নে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোন রকম অর্থ সাহায্য পাওয়া যায়নি। এমতঅবস্থায় রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করার জন্য তিনি সকলের কাছে আবেদন জানান।