‘হোম ডেলিভারি আটকাবেন না, সবজি বিক্রেতাদের বাধা দেওয়া চলবে না। হকার কার্ড বিলি করা হবে। রাজ্যের কন্ট্রোল রুমে তিন শিফটে হবে কাজ। কেউ অভুক্ত থাকলে প্রশাসনকে জানান। একবারে দু’মাসের সামাজিক পেনশন দেওয়া হবে।’ বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন, হোম ডেলিভারি সংস্থাগুলির জন্য পাস ইস্যু করা হবে। সে ক্ষেত্রে একটি মাত্র পাসেই কাজ হবে গোটা রাজ্যে। একটি পাশে গোটা জেলা তথা রাজ্যে পণ্য সরবরাহ । সবজি বিক্রেতাদের বাধা দেওয়া যাবে না। সবজি বহন করার গাড়িগুলি কেউ বাধা দেওয়া যাবে না। কৃষকদের মাঠের কাজে বাধা নয়। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আটকালে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কন্ট্রোল রুম নাম্বার ১০৭০। হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২১৪
কারোর জ্বর হলে সামাজিকভাবে বয়কট নয়। কেউ খাবার না পেলে ভিডিও আইসিকে জানানোর নির্দেশ। ভবঘুরেদের জন্য নাইট সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেই মিলবে তাদের খাবার। খোলা থাকবে সমস্ত রেশন দোকান। প্রয়োজনে মানুষকে এক মাসে রেশন দিন। একবারে দুমাসের সামাজিক পেনশন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন খোলা হয়েছে।
রাজ্যের কন্ট্রোলরুম তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। তবে কেন্দ্রের থেকে কোনরকম সাহায্য মেলেনি। করোনা মোকাবেলায় মাস্ক, গ্লাভস-সহ কোন প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়নি, জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।