বিশ্ব তথা দেশজুড়ে আতঙ্কের মাঝে চূড়ান্ত স্বস্তির খবর বাংলায়। রাজ্যে আইসোলেশন থাকা ৪৬ জনের শরীরে পাওয়া গেল না করোনাভাইরাসের হদিশ। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত বৃদ্ধের পরিবারের দুজনও।
জানা গিয়েছে, গতকাল আইসোলেশনে থাকা ৪৬ জনের লালারসের নমুনা পাঠানো হয় বেলেঘাটার নাইসেডে। প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তথ্য বলছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সোয়াব টেস্ট হয়েছে ১৭৬ জনের, যাদের মধ্যে ৯ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো স্বস্তির খবর হল, মঙ্গলবার দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার পর রাজ্যে এখনো পর্যন্ত নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। দেশজুড়ে আতঙ্কের মাঝে বাংলার এই খবর স্বভাবতই স্বস্তি দেবে সাধারণ মানুষকে।
কয়েকদিন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর সোমবার বিকেলে মারা যান দমদমের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। এই ব্যক্তির মৃত্যুর পর চরম উঠকণ্ঠা তৈরি হয় যারা যারা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের নিয়ে। ইতিমধ্যে বাড়ির বাকি লোকজন-সহ করোনা আক্রান্ত সন্দেহে পরিচারিকা হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। সোমবার সেই পাঁচ জনের মধ্যে ওই ব্যক্তির শাশুড়ি ও স্ত্রীর নমুনার রিপোর্ট আসে। তাতে দেখা যায়, রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। চরম করোনা আতঙ্কের মধ্যে যা বড় স্বস্তি এনে দেয়।
উল্লেখ্য, বুধবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে প্রাণ হারান ৫৪ বছরের এক প্রৌঢ়। আর এর ফলে দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। মঙ্গলবার রাত ১.৩০ নাগাদ মাদুরাইয়ের রাজাজি হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়ভাস্কর ট্যুইটে ওই ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘আমাদের সকলের অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মাদুরাইয়ের রাজাজি হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। উনি হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসে দীর্ঘদিন ধরে আক্রান্ত ছিলেন।’ মৃত ব্যক্তির তামিলনাড়ুর বাইরে যাওয়ার কোনো ইতিহাস নেই।