করোনা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে গোটা দেশই। উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় লক ডাউন ঘোষণা হয়েছিল। তবে তার মধ্যেই মঙ্গলবার রাত ৮টায় ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে গোটা দেশজুড়েই টানা টানা ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মতোই মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গোটা দেশে জারি লকডাউন। বারবারই বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে পা না রাখেন। করোনা রুখতে আপাতত এই একটিমাত্র পথ রয়েছে, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তুবেই ২১ দিন মানুষ খাবে কী? এই প্রশ্নই ঘুরছে গৃহস্থালির অন্দরে। এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, কিছু জরুরি পরিষেবা ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলিতে ছাড় দেওয়া হবে।
জানানো হয়েছে, লকডাউনের আওতার বাইরে থাকছে ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স, ক্লিনিক, ল্যাব, গ্যাস, পেট্রোল পাম্প, বিদ্যুৎ সরবরাহ, ব্যাঙ্ক–এটিএম, বিমার অফিস, টেলিকম, ইন্টারনেট, কেবল সার্ভিস, তথ্যপ্রযুক্তি, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, মুদিখানা, রেশন দোকান, ফল–সব্জি–দুধ–মাংস–মাছ–প্রাণী খাদ্য, পুরসভার জল ও সাফাই বিভাগ, পুলিশ, দমকল, সংবাদমাধ্যম, ট্রেজারি, জেলা প্রশাসন, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, হিমঘর। মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘এই লকডাউনকে একরকম কার্ফু বলা যেতে পারে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। অন্তত ২১ দিনের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকর। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন। এই ২১ দিন লকডাউন না মানলে দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। এই ২১ দিনের জন্য বাইরে বেরোনো ভুলে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।’