কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রমণ দেশে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় পর্যায়ে। তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছনোর আগে গোটা রাজ্যে পরীক্ষাকেন্দ্র আরও অনেক বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। আর এই কারণেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের চারটি বেসরকারি হাসপাতাল-সহ একটি ল্যাবে শুরু হতে চলেছে কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা। এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। একইসঙ্গে দেশে তৈরী ১২০০ টাকার কিটে ছাড় দিল কেন্দ্র।
ফর্টিস হাসপাতালের এক আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিট কোথা থেকে কিনতে হবে তা আমাদের জানাবে আইসিএমআর। কিট এলেই আমরা পরীক্ষা শুরু করতে পারব।”একই কথা বলেন এসআরএল ল্যাবের এক আধিকারিক। জানা গেছে খুব শীঘ্রই এই কিট এসে পৌঁছবে।
আইসিএমআর জানিয়েছে, দেশের দু’টি সংস্থা আইসিএমআরের নির্ধারিত যোগ্যতামান অর্জন করেছে। একটি অ্যালতনা ডায়াগনস্টিক এবং অন্যটি পুণের মাই ল্যাব। আইসিএমআরের নির্ধারিত যোগ্যতামান অনুসারে এই দু’টি সংস্থারই কিটের সাহায্যে যে কোনও কোভিড-১৯ নমুনা ১০০ শতাংশ পজিটিভ বা নেগেটিভ বলা সম্ভব হচ্ছে। মাই ল্যাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, তাঁরা তাঁদের কিটের দাম ১২০০ টাকা রেখেছে। সপ্তাহে ১ লাখ পর্যন্ত কিট তাঁরা জোগান দিতে পারবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই কিটের জোগান এলেই চালু হয়ে যাবে ওই পাঁচটি বেসরকারি কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই এই ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ১টি ল্যাবের নাম পাঠানো হয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর কাছে অনুমোদনের জন্য। এই হাসপাতালগুলিতে আইসিএমআরের নির্ধারিত পরিকাঠামো থাকলেও, কোভিড-১৯ টেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কিট না থাকায় ওইপরীক্ষা শুরু করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। তবে সোমবার থেকে দেশে তৈরি কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট আইসিএমআরের ছাড়পত্র পাওয়ায় ওই চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ১টি ল্যাবে খুব তাড়াতাড়ি ওই পরীক্ষা শুরু করা যাবে বলে মনে করছেন ওই প্রতিষ্ঠানগুলির আধিকারিকরা। এই তালিকায় রয়েছে অ্যাপোলো গ্লেনেগল্স, ফর্টিস, মেডিকা, নিউটাউনের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক এবং সল্টলেকের এসআরএল ল্যাবরটরিজ।