বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও থাবা বসিয়েছে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত করোনা। দ্রুত গতিতে সংক্রমণের ফলে দিন যত এগোচ্ছে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছুঁইছুঁই। মৃত্যু ঘটেছে ১২ জনের। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৪৮টি জেলায় লকডাউন চালু করা হয়েছে। কিন্তু প্রতি দিনই বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এ দিন মহারাষ্ট্রে আরও ৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। ওই চার জনের মধ্যে ৩ জন পুণের এক জন সাতারার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে সংক্রমণের সংখ্যায় দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কেরালা। বাংলায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ জন। তার পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭। তার পরে কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লী, রাজস্থান, গুজরাত-সহ আরও রাজ্য।
রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন চালু করার পরেও অনেক জায়গাতেই সেই নিয়ম অমান্যের অভিযোগ উঠছে। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৯০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। কলকাতার পুলিশ সুপার অনুজ শর্মা টুইট করে জানিয়েছেন আইন ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। পঞ্জাবে লকডাউনকে কার্যকরী করতে কার্ফু জারি করেছে সরকার। মহারাষ্ট্রেও কার্ফু জারি হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, বিশ্বেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার। মৃত্যুও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এই সংখ্যাটা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে ইটালি। সে দেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। সেখানে চিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার। তবে গোটা বিশ্বে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লক্ষেরও বেশি মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার ফের একবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের করোনা পরিস্থিতি কী রূপ ও এর প্রতিরোধে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সেই কথাই আজ রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে বলবেন তিনি। মঙ্গলবার টুইটারে মোদী লেখেন, ‘আজ, ২৪ মার্চ ২০২০ রাত ৮টায় করোনা মোকাবিলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিতে চলেছি।’