পিছিয়ে যেতে পারে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর তৈরির কাজ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, এই মর্মে চলতি সপ্তাহেই জারি হতে পারে সরকারি বিজ্ঞপ্তি৷ নেপথ্যে করোনাভাইরাস।
দেশের কোনও অংশেই এনপিআর তৈরির কাজ শুরু করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন রাজ্যে এনপিআর তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা। সেটাই পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের জেরে যেখানে গোটা দেশই লকডাউনের আওতায় এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীও আবেদন করেছেন, সেখানে এনপিআর প্রক্রিয়া শুরু না করাই ভাল হবে বলে মনে করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটা অংশ৷ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কেন্দ্রের তরফে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর৷
উল্লেখ্য, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনপিআরের প্রথম ধাপে, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছ’মাস তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের৷ করোনার বাড়বাড়ন্তের পরিস্থিতিতে এটা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ডিজিটাল পদ্ধতির পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রেখেছে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার অফিস৷ তবে এনপিআরের প্রথম ধাপে তা ব্যবহার না করে আগামী বছর দেশের জনগণনার চূড়ান্ত পর্যায়ে (সেনসাস ২০২১) তা ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট অংশে গিয়ে নিজের মোবাইলের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য আপলোড করার সুযোগ দেওয়া আছে৷ দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে সেখানকার বাসিন্দারা সহজেই তাঁদের যাবতীয় তথ্য সরকারের কাছে পাঠাতে পারবেন৷ তথ্য দেওয়ার সময় প্রত্যেকের মোবাইলে একটি করে ওটিপি যাবে। যার সাহায্যে এই তথ্য পাঠানো যাবে৷ ঠিকমতো সম্পূর্ণ হলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য প্রদানকারীর মোবাইলে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে৷