বিজেপি বিরোধী জোট হোক কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফণীর মোকাবিলা – বরাবর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলাতেও একই রূপে দেখা গেল বাংলার অগ্নিকন্যাকে।
শুরু থেকেই পরিস্থিতির রাশ তুলে নিয়েছেন নিজের হাতে। করোনা মোকাবিলা করতে লাগবে অর্থ। ৫০ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করে এবং সামাজিক প্রকল্পগুলির দায়িত্ব সামলেও করোনা-মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছেন মমতা।
গুজব রুখতে প্রথম দিন থেকেই সক্রিয় ছিলেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কীভাবে নেওয়া যায়, নবান্নে বারবার বৈঠক করে তা রাজ্যবাসীকে বুঝিয়েছেন। আমজনতাকে সচেতন করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক করেছেন। দূরদর্শীতায় বুঝেছেন, শুধু বেলেঘাটা আইডি-তে হবে না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপযুক্ত বানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকেও। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম এবং রাজারহাটে রাতারাতি আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলেছেন। মমতার এই কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও।
তবে এসবের আগে করেছেন লকডাউন। বাংলায় যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যবস্থা করেছেন। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের থেকে যাতে করোনা না ছড়ায় সে জন্য শুধু রাজ্যবাসীকে নয়, বিদেশ ফেরত প্রত্যেককে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
সুষ্ঠ ভাবে করোনা মোকাবিলা করতে সর্বদল বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধী প্রত্যেক দলের প্রতিনিধিই মমতার সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ছেড়ে প্রত্যেকেই মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও প্রত্যেক দলের বক্তব্য শুনেছেন সময় দিয়ে। এই মহামারী সামলাতে যারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, সেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বসেছেন। রাজ্যবাসীর জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন। এই দুর্দিনে কেন্দ্র যাতে ঋন মকুব করে দেয়, বুলবুলের টাকা দিয়ে দেয় এই দাবি তুলেছেন। রাজ্যের জন্য আর্থিক প্যাকেজের দাবিও জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে করোনা মোকাবিলায় প্রকৃত জননেত্রীর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেনমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হয়, বেনজির সঙ্কটে কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়, সেটা দেখাচ্ছেন বাংলার অগ্নিকন্যা।