জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের দ্রুত মুক্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সদ্য মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। এবার প্রায় ৮ মাস গৃহবন্দী থাকার পর এবার মুক্তি পেলেন ফারুখ-পুত্র তথা জম্মু-কাশ্মীরের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। প্রায় ৮ মাস আগে আগস্টে একসঙ্গে গৃহবন্দী হয়েছিলেন ফারুখ ও ওমর।
ফারুক-ওমর মুক্তি পেলেও গৃহবন্দী রয়েছেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। সম্প্রতি সেন্ট্রাল শ্রীনগরে সরানো হয় মুফতিকে। তাঁর মুক্তি নিয়ে এখনও কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, ফারুখকে গুপকর হাউজ এবং ওমরকে হরি নিবাসে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। বাবার মুক্তির পর সম্প্রতি দাদা ওমরের মুক্তি চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন তাঁর বোন।
গৃহবন্দী থাকার সময়ই প্রকাশ্যে আসে ওমর আবদুল্লার এক ছবি। কাঁচা-পাকা দাড়ি ভরা মুখের ওমরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শেয়ার হয়। ছবি ঘিরে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর ওই ছবি দেখে টুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লিখেছিলেন, ‘ওকে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তার খাতিরে গত বছর ৫ আগস্ট থেকে গৃহবন্দি হন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর মুক্তির দাবিতে নানা মহল থেকেই দাবি উঠেছিল। বিরোধী নেতানেত্রীরাও গলা মিলিয়েছিলেন ওমরের মুক্তি চেয়ে। এরমধ্যে দিল্লী হিংসা-সহ নানা বিষয়ে চাপে পড়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় যাননি মোদী-শাহ। বরং কাশ্মীরি নেতাদের সম্পর্কে কিছুটা নরম মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা গেল তাঁদের। এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।