বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে এসেই দেশবাসীকে যে কোনও রকমের জমায়েত বা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রবিবার গোটা দেশে ১৪ ঘন্টার ‘জনতা কার্ফু’ পালনের নিদান দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে একজায়গায় একাধিক লোকের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও থামেনি শাহিনবাগ। তবে আন্দোলনের প্রকৃতি কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
রবিবার সারাদিন জনতা কার্ফুর সময় কখনওই পাঁচজনের বেশি আন্দোলনকারী শাহিনবাগের বিক্ষোভ স্থলে ছিলেন না। আর বাকি ফাঁকা স্থানে খাটিয়ার ওপর জুতো রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ চালিয়েছে শাহিনবাগ। এর পাশাপাশি, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিকাল ৫টার সময় ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শাহিনবাগ অঞ্চলের সব বাসিন্দাই। নিজেদের বাড়ির ব্যালকনি বা ছাদে ভিড় করেছিলেন তারা। কিন্তু তারা কেউই ঘন্টা কাসর বাজাননি বা হাততালি দেননি।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘যারা এই দুঃসময়ে নিজের সর্বস্ব দিয়ে কাজ করে চলেছেন তাদের সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য হাততালি দিতে হবে বা থালা বাজাতে হবে বলে মনে করি না।’ উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে প্রায় ১০০ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছে শাহিনবাগ। কিন্তু করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে সমাজের প্রতি স্তর থেকেই এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এই নিয়ে শনিবার আন্দোলনকারীদের দুই অংশের মধ্যেই একটু মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। যদিও রবিবার দেখা যায়, আন্দোলন জারি রেখেছে তাঁরা।