করোনার থাবায় গোটা বিশ্বের মতোই এখন ত্রাহি ত্রাহি রব ভারতেও। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরশুদিন যা ছিল দুশোর ঘরে আজ তা চারশো ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। লকডাউন চলছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে দেশের যেখানে যেখানে উৎপাদন ইউনিট আছে, করোনাভাইরাস সতর্কতায় সর্বত্র কারখানা বন্ধের নোটিস দিল এশিয়ান পেইন্টস কর্তৃপক্ষ। রঙ প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, যে যে রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে সেখানে যতদিন তা লাগু থাকবে ততদিন বন্ধ থাকবে উৎপাদন।
এশিয়ান পেইন্টসের তরফে জানানো হয়েছে, তারা কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে। কোনও ভাবেই কর্মীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে না। তাই কর্মীদের আপাতত বাড়ি থেকে কাজ করার কথা ইমেল মারফত জানিয়ে দিয়েছে এশিয়ান পেইন্টস কর্তৃপক্ষ। দেশের ৮৩টি জেলায় আংশিক ও পূর্ণ লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। আপাতত সেসব জায়গা স্তব্ধ। তবে যে শহরে লকডাউন ঘোষণা হয়নি সেখানকার উৎপাদনও ২৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখছে এই সংস্থা।
উল্লেখ্য, মন্দার বাজার চলছিলই। তবে এই মুহূর্তে করোনার গ্রাসে দেশের অর্থনীতি। সোমবার শেয়ারবাজার খুলতেই সূচক পড়তে শুরু করে। এতই দ্রুত গতিতে শেয়ার সূচক পড়তে থাকে যে, ৪৫ মিনিটের জন্য শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ হয়ে যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, শেয়ারবাজারের পতন ইঙ্গিতমাত্র। কিন্তু তা দিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা ঠিক হবে না। সার্বিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।