রবিবারই রাজ্যের ২৩ টি পুর এলাকায় লকডাউনের নোটিস জারি করেছে রাজ্য সরকার। নির্দেশ মতো, ২৩ মার্চ অর্থাৎ আজ বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার অর্থাৎ ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত মোট সাড়ে ৪ দিনের জন্য এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। যদিও লকডাউনের সময় ব্যাঙ্ক-এটিএম খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার, তবে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলেই আশঙ্কা। যেমন এটিএমে টাকা তুলতে গিয়ে নাও পাওয়া যেতে পারে, তেমনি ব্যাঙ্কেও টাকা তোলা-সহ অন্যান্য পরিষেবা পাওয়া নিয়েও সমস্যা হতে পারে। কর্মীরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক, এটিএম খোলা। কিন্তু বন্ধ ট্রেন, মেট্রো, বাস, অটো। তাহলে তাঁরা আসবেন কী করে?
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর জানিয়েছেন, জরুরি পরিষেবার জন্য কিছু সরকারি বাস চললেও তাতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা আসতে পারবেন, এমনটা নয়। আমরা ব্যাঙ্ক কর্মীদের বলেছি, যদি কারও কর্মস্থলে যাওয়ার উপায় থাকে, তাহলে যান। আর যদি যেতে না পারেন তাহলে যাবেন না। এই সময়ে অনুপস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যদি কর্মচারীদের জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে তাঁরা গিয়ে পরিষেবা দেবেন। তবে এ সংক্রান্ত কিছুই এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। বহু এটিএমে রবিবার টাকা শেষ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে রাজেন নাগর বলেন, টাকা যাঁরা ভরবেন, তাঁরা আসবেন কী করে? ফলে লকডাউনের দিনগুলোয় সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
অল ইন্ডিয়া স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত বলেছেন, ব্যাঙ্ক কর্মীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। যাঁরা ব্যাঙ্কে আসছেন, তাঁদের কেউ করোনা আক্রান্ত কি না জানার উপায় নেই। আমরা এ কারণে প্রতিটি ব্যাঙ্ক ও এটিএমের শাখায় থার্মাল স্ক্যানার রাখার দাবি তুলেছি। টাকার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই যথাসম্ভব নগদে লেনদেন এড়িয়ে চলতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয় এমন শাখায় করোনা সংক্রামিত দেশ থেকে ফেরা অনেকে আসছেন। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্টেট ব্যাঙ্ক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেগুলি এখনও বিবেচনায় আনা হয়নি। ফলে রাজ্যবাসীর হয়রানি যে বাড়তে পারে, তা বলাই বাহুল্য।