করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তাঁর মরদেহ থেকে সংক্রমণ না ছড়ায় সে জন্য পুলিশ ও স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই ব্যক্তির মৃত্যু যখন ঘটে তখন নবান্নে সর্বদল বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে বলেন, মরদেহ থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সে ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে।
জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয় যে মরদেহের সৎকার কীভাবে হবে। এ ব্যাপারে সরকার যেরকম নির্দেশ দেবে তারা তা অনুসরণ করবে বলে জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, মৃত রোগীর ফুসফুস থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রবল। এ ক্ষেত্রে আর কোনও পোস্টমর্টেম বা অটোপসি না করাই ভাল। মর্গে এ ধরনের মরদেহ ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার নীচের তাপমাত্রায় রাখতে হবে। অর্থাৎ কোল্ড চেম্বারে মরদেহ সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওই রোগীকে হাসপাতালের যে ঘরে রাখা হয়েছিল তার ফ্লোর, সিলিং, দেওয়াল, বেড, মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট বিশেষ সলিউশন দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার-পরিজনকে মরদেহর কাছে যেতে দেওয়া যাবে না। মরদেহ স্পর্শও করা যাবে না। বডি ব্যাগ খুলে শুধু মৃতের মুখ দেখানো হবে পরিবারকে। তার পর দেহকে না ছুঁয়ে ধর্মমতে সৎকার করে ফেলতে হবে।