যে হারে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে চিন্তিত এদেশে থাকা কিবু ভিকুনা, মারিয়ো রিভেরা, ফ্রান গঞ্জালেস থেকে কাশিম আইদারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে স্পেন এবং সেনেগালে থাকা তাঁদের পরিবারের মানুষদের নিয়ে তাঁরা প্রত্যেকেই উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রাখছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তেমনই তাঁরা চিন্তিত আই লিগ এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ প্রত্যেক দিনই ফুটবলারদের শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে নিজেদের কমপ্লেক্সে ট্রেনিং করাচ্ছেন। হোসেবা বেইতিয়াদের সঙ্গে ট্রেনিং-এ দেখা যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের অভিষেক আম্বেকরকেও। কিন্তু ট্রেনিং-র পরেই স্পেনে পরিবার এবং পোলান্ডে থাকা স্ত্রী-র সঙ্গে যোগযোগ শুরু করছেন তিনি। বলছিলেন, ‘স্পেনে আমার পরিবারের এমন কয়েকজন আছেন, যাঁদের বয়স সত্তরের বেশি। তাঁদের নিয়ে ভাবছি।’
সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাস যেভাবে ভারতে প্রত্যেক দিন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আই লিগ বাতিল করে দিতে পারে ফেডারেশন। সেটা হলে পরের মরসুমে ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে চিন্তিত খেতাবজয়ী ফুটবলাররা। এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পর মোহনবাগানের জনা চারেক ফুটবলারকে হয়তো দলে নেবেন হাবাস। আন্তোনিয়ো হাবাসের যে দল আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁদের প্রায় সব ফুটবলারের সঙ্গেই চুক্তি রয়েছে দু’বছরের।
তবে ন’ম্যাচে ১০ গোল করা পাপা বাবাকার দিওয়ারা সৌদি আরবের এক ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বলে খবর। এদিকে কিবু ভিকুনা তাঁর দুই সহকারী থোমাস ও ফিজিক্যাল ট্রেনার পাওলাসকে নিয়ে কেরল ব্লাস্টার্সে যাচ্ছেন। কোচির খবর, মোহনবাগানের তুলনায় দ্বিগুণ টাকায় কেরলের সঙ্গে চুক্তি করেছেন স্প্যানিশ কোচ। তাঁর সঙ্গে কেরলে যেতে পারেন হোসেবা বেইতিয়া এবং ফ্রান মোরান্তেও। তবে এখনই সব নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আপাতত মরশুম শেষের দিকেই তাকিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলাররা।