নির্ভয়ার চার ধর্ষককে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছেন তিনি। মাথাপিছু মিলেছে ২০ হাজার টাকা। অপরাধীদের শাস্তিটা তাঁর হাতে হওয়ায় খুশি তিনি। আপাতত হাতে বেশ কিছু টাকা এলেও পবনের রোজনামচাটা এমন নয়। দিন আনি দিন খাই করেই জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করে দিয়েছেন এই ফাঁসুড়ে।
বছরভর নিজের ভ্যানরিক্সায় পবন নানা জিনিস ফেরি করে বেড়ান। কখনও সবজি, কখনও ফল বিক্রি করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে পবন জানিয়েছেন এই ফাঁসির টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়ে দিতে চান তিনি।
এই প্রথম নিজে হাতে ফাঁসি দিলেন পবন। তবে নিঠারি কাণ্ডে ফাঁসির প্রস্তুতিতে তিনি আগাগোড়া সহায়ক হিসেবে ছিলেন। পবনের দাদার হাতে ফাঁসি হয়েছে ইন্দিরা হত্যকারীর। এছাড়া ১৯৮১ সালের সঞ্জয় চোপড়া ও গীতা চোপড়ার হত্যাকারী রঙ্গ বিড়লাকেও ফাঁসি দেয় পবনের দাদা।
পবন আদতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করা একজন মানুষ। উত্তরপ্রদেশের মীরাটের বাসিন্দা তিনি। ফাঁসি দেওয়া তাঁর পূর্বপুরুষের পেশা। তাঁর দাদু মাম্মু, প্রপিতামহ লুল্লু ফাঁসি দিয়েই অর্থ উপার্যন করতেন। তাঁর বাবা মাম্মুর হাতে ফাঁসি হয় ভগৎ সিংয়ের।