সাত বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে মিলল ন্যায়বিচার। নির্ভয়ার গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত মুকেশ, অক্ষয়, বিনয় এবং পবনকে আজ ভোরে ঝোলানো হল ফাঁসিতে। তারপরই নির্ভয়ার পরিবারের সঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল গোটা দেশ। এই সাত বছর ধরে আইনের লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে নির্ভয়ার বাবা-মাকে, দিতে হয়েছে ধৈর্য্যের পরীক্ষাও। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলেন নির্ভয়া।
ফাঁসির একদিন আগে বৃহস্পতিবারও দিল্লী হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও আবেদন করে বাঁচার চেষ্টা করে অপরাধীরা। কিন্তু তাঁদের সেই চেষ্টা বিফলে যায়। নজিরবিহীনভাবে একসঙ্গে ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তিহার জেলে। এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারের শীর্ষে ট্রেন্ড সীমা কুশওয়াহা। কিন্তু এই ইনি?
ইনিই সেই মহিলা আইনজীবী, যিনি গত ৭ বছর ধরে ন্যায়বিচারের জন্যে আদালতে যুক্তিতর্কের লড়াই করেছেন। ইনি সেই আইনজীবী যিনি নিজের পেশার খাতিরে নয়, দীর্ঘদিন এই মামলা লড়েছেন শুধু মানবিকতার খাতিরে। গত ৭ বছর ধরে নির্ভয়ার পরিবারের সুখদুঃখের সঙ্গী ছিলেন তিনি। না, নির্ভয়ার বাবা-মায়ের কাছ থেকে মামলা লড়ার জন্যে একটি টাকাও পারিশ্রমিক নেননি তিনি।
কথায় বলে ‘ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গে থাকে’। সেই প্রবাদ মেনেই শুক্রবার সাফল্যের হাসি হাসেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা। নির্ভয়া মামলার ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে অসংখ্য মানুষ অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ওই আইনজীবীকে। শুক্রবার দিনভর টুইটারে একজনই ‘হিরো’, সীমা কুশওয়াহা। এদিন ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর সীমা কুশওয়াহাকে সবচেয়ে আগে অভিনন্দন জানান নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তিনি বলেন, ‘আজ আমার এক মেয়ের ওপর হওয়া অত্যাচারের ন্যায়বিচার পেলাম আমার আরেক মেয়ের সৌজন্যে।’