ইউরোপ থেকে ছেলে করোনা নিয়ে ফিরেছিল। কিন্তু তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে না পাঠিয়ে বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিলেন মা। আর আক্রান্ত ছেলেকে এভাবে লুকিয়ে রাখায় সাসপেন্ড হলেন দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের এক অফিসার। শুক্রবার ২৫ বছরের ওই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তারপরই বহু মানুষের জীবন বিপদে ফেলার দায়ে সাসপেন্ড করা হয় বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই মহিলা অফিসারকে।
দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনাল অফিসার ওই মহিলার ছেলে জার্মানি থেকে স্পেন হয়ে ভারতে ফেরেন। যদিও প্রথমে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল যে ওই যুবক ইতালি থেকে ফিরেছেন। পরে রেল তা সংশোধন করে জানায় যে ওই যুবক জার্মানিতে কর্মরত। ইতালি নয়, জার্মানি থেকে স্পেন হয় বেঙ্গালুরু আসেন তিনি। গত ১৩ মার্চ বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু রেল অফিসার তাঁর মা কাউকে কিছু না জানিয়ে রেলের একটি গেস্ট হাউস বুক করে সেখানেই ছেলেকে রাখেন। এভাবে নিজের পরিবারকে তিনি বাঁচালেও তথ্য গোপন করে বহু মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছে রেল। এই অপরাধেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
এদিকে, বাংলায় প্রথম করোনা আক্রান্তের বাবা ডাঃ শ্যামল ঘোষের সদস্য পদ খারিজ করল চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (আইএমএ)। একইসঙ্গে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করার অভিযোগে ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্যও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে আবেদন করছে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ। বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে আইএমএ’র অল ইন্ডিয়া কমিটি।