মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেওয়া ২২ বিধায়ককে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্পিকার নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি। তার জন্য দু’সপ্তাহের সময় চাইতেই এবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হল। যত সময় দেওয়া হবে, ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র সুযোগ বাড়বে। মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট নিয়ে এমনই মন্তব্য করল বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। ভিডিও কনফারেন্সে ওই বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাবও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু স্পিকার তাতেও কার্যত রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২২ বিধায়কের ইস্তফার পরেই মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকারে সঙ্কট দেখা দেয়। তার জেরে ১৪ মার্চ সোমবার আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। কিন্তু করোনার কারণে বিধানসভার অধিবেশন ২৬ দিনের জন্য পিছিয়ে দেন স্পিকার। তার পরেই এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই বিধায়কদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, ভোপালে গেলেই জোর-জবরদস্তি করে বা টাকার লোভ দেখিয়ে ওই বিধায়কদের দলে টেনে নেবে কংগ্রেস। ওই বিধায়করাও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ।
স্পিকারের আইনজীবী আদালতেও জানিয়েছেন, ওই বিধায়কদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তখন বিচারপতি চন্দ্রচূড় ভিডিও কনফারেন্সে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘ওই বিধায়করা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কি না, তা আমরা যাচাই করে দেখার ব্যবস্থা করতে পারি। আমরা বেঙ্গালুরু বা অন্যত্র একজন পরিদর্শক নিয়োগ করতে পারি, যার মাধ্যমে আপনি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’ কিন্তু দু’সপ্তাহের সময় চান স্পিকার।
তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে বলেন, ‘আমাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দিন। বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যপ্রদেশে বাড়িতে ফিরতে দিন। ওঁরা পরিবার থেকে দূরে অস্বাভাবিক পরিবেশে বসবাস করছেন। ভিডিও কনফারেন্সের শুধুমাত্র একটি ধারণা পাওয়া যাবে।’ এর পরেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় ঘোড়া কেনাবেচার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এক একটা সপ্তাহ ঘোড়া কেনাবেচার জন্য সোনার খনির মতো। সেই কারণেই দ্রুত আস্থা ভোট করাতে সক্রিয় আদালত। উদ্দেশ্য হল, সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সেই ভাবে সক্রিয় হয়ে যাতে দ্রুত আস্থা ভোট করানো যায়, সে বিষয়ে সক্রিয় হতে হবে।’