করোনা মোকবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ এখনই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে দাবি তুলল তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেন, করোনা মোকাবিলায় সার্ক দেশগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স করেছেন, ভালো কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীদের কেন ডাকা হচ্ছে না? এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার জন্য বিশেষ তহবিলই বা কেন গঠন করা হচ্ছে না?
অধিবেশন চলাকালীন প্রতি সপ্তাহে সব রাজনৈতিক দলের নেতাকে নিয়ে দুই সভাতেই বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠক হয়। লোকসভায় স্পিকার, রাজ্যসভায় চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অধিবেশন চলাকালীন এই বৈঠক হয়। সরকারের পক্ষে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন। এ সপ্তাহে সেই বৈঠক এখনও হয়নি। যা ঘিরে বিরোধীদের মনে আরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল লোকসভায় অর্থবিল পাশ হওয়ার কথা। তাহলে? আর কী রয়েছে, যে করোনার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও সংসদ চালিয়ে যেতে হবে? উঠছে প্রশ্ন।
করোনা ইস্যুতে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীরা সংসদের অধিবেশন আপাতত স্থগিত করে দেওয়ার পক্ষে হলেও সরকার নারাজ। খোদ প্রধানমন্ত্রী তো বটেই, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতিও তাদের জানিয়ে দিয়েছেন, সংসদের অধিবেশন আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্তই চলবে। সংসদে অনেক এমপি করোনা আতঙ্কে আসছেন না। লোকসভা এবং রাজ্যসভার দর্শক গ্যালারি ফাঁকা। কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে? একপ্রকার জীবন বাজি রেখে কেন সংসদ চালানো হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তবে কি ইউনিফর্ম সিভিল কোড জাতীয় কোনও বিল আনার মতলবে আছে সরকার? করোনার উদ্ভূত পরিবেশে বিরোধী দলের এমপি কম থাকায় যা অনায়াসেই পাশ হয়ে যেতে পারে। তৈরি হয়েছে জল্পনা।
তাই সংসদ চালাতে সরকার অনড়, এই খবর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতেই তিনি দলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বলেছেন, আপাতত দিল্লীতেই থাকুন। সরকারের কোনও মতলব আছে কি না, চোখ কান খোলা রাখুন। সেই মতো করোনার আতঙ্কে দলের বেশিরভাগ এমপি তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে গেলেও সুদীপবাবু আপাতত সংসদের অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিল্লিতেই থাকছেন। রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ানকেও সেরকমই বলা হয়েছে।