গতকাল উচ্চপদস্থ আমলার ছেলের করোনা ধরা পড়ার পরেই নবান্নে শুরু হয়েছে থার্মাল স্ক্রিনিং। শুধু তাই নয়, মহাকরণেও বসেন ওই আমলা। সেই অফিসেও আতঙ্কের হাওয়া। এমনকী মহাকরণে সব গেট বন্ধ করে শুধুমাত্র ৬ নম্বর গেট খুলে রাখা হয়েছে। বিকেলে চারটের মধ্যে মহাকরণ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্মীরা ফাইল ছুঁতেও চাইছেন না।
তবে লালবাজারে রীতিমতো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে। অফিসার থেকে শুরু করে বহিরাগত-সকলের জন্যই জারি হয়েছে নানা নির্দেশিকা। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। লালবাজারের তরফে বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ, সাবধানতা অবলম্বনের পন্থা নিয়ে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে।
করোনা রোধে এদিন নবান্নে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ঘোষণা করেছেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকলেও শিশুদের বাড়িতে পৌঁছে যাবে মিড ডে মিল।’ সকলের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘অযথা ভয় নয়। আসুন সকলে মিলে লড়াই করি।’ তারপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের যে কিটগুলো পাঠানোর কথা, সেগুলো এখনও পাচ্ছি না। এখন পারমিশন না পেলে আর কখন পাব। সময় নষ্ট করে কী লাভ।’ তারপরেই তিনি জানান, ২ লাখ মাস্ক ও ৩০ হাজার গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। এমনকি থার্মাল গান ১০ হাজার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ১০ হাজার অর্ডার দেওয়া হবে।