রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে তাঁকে সাংসদ করায় তীব্র বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা। প্রতিবাদে শামিল হয় বাম, ডিএমকে ও এমডিএমকে-ও।
২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। তার ঠিক চার মাসের মাথায় হত ১৬ মার্চ তাঁর নাম রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। তার পর থেকেই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিয়োগের বিরোধিতায় প্রশ্ন তুলছেন দেশের শীর্ষ আদালতে দীর্ঘদিন বিচারপতির দায়িত্ব পালন করা তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা৷
তৃণমূলের প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রঞ্জন গগৈ কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করে রাজ্যসভায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দু’বছর অপেক্ষা করলেন না? তাঁর এই মনোনয়ন দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে সাধারণ নাগরিকদের ভরসা কমিয়ে দেবে, নয়াদিল্লীতে এমনই অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, ‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিদের উচিত তাঁদের অবসর গ্রহণের পরে অন্তত দু’বছর কোনও সরকারি পদ গ্রহণ না করা। এই নীতি মানলেন না গগৈ৷ মনে রাখতে হবে, দেশের বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখার দায় শুধু দেশের বর্তমান বিচারক ও বিচারপতিদের উপরে বর্তায় না, এর দায়িত্ব বর্তায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উপরেও৷ দেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের উপরেই ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়৷ সেই বিশ্বাসই যদি না থাকে, তা হলে ন্যায়ের প্রশ্নই ওঠে না৷’ লোকসভার ভিতরে দাঁড়িয়েও কল্যাণ বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত, প্রকৃতপক্ষে এটা সমগ্র জাতির লজ্জা৷’