খড়গপুর শহরের ভবানীপুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক যুবক সম্প্রতি জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে ভর্তি হন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছিলেন। সেখানে ওই যুবকের অবস্থা সন্দেহজনক মনে হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই যুবককে পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল তাকে নীলরতন হাসপাতালে পাঠায় বিভিন্ন লক্ষণ বিবেচনা করে। ১৭ মার্চ ওই ব্যক্তিকে নীলরতন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তিনি ‘স্ট্রং সাসপিসিয়ান অফ করোনা’। অর্থাৎ অতিমাত্রায় সন্দেহভাজন সংক্রামক। তাকে পুনরায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে খড়গপুরে লুকিয়ে সেই সন্দেহভাজন। তাকে খুজতে গিয়ে কালঘাম ছুটল পুলিশের।
দাগি আসামি নয়, সন্দেহভাজন সংক্রামক বেলেঘাটা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ঘোরাফেরা করছে খড়গপুর শহরে-এই খবর পেয়ে তাকে খুঁজে বের করতে ঘাম ছুটে গেল খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ও পুর প্রশাসনের। ভারতীয় মহামারী প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, পলাতক এই রোগী অবশ্য ‘খুনের আসামির’ চাইতেও মারাত্মক কিছু নয়। কারণ সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। তাকে খুঁজে বের করে ফের তুলে দেওয়া হল স্বাস্থ্য দফতরের হাতে।
মঙ্গলবার রেফার হওয়া ওই যুবক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে না গিয়ে পরিবার-সহ খড়্গপুরে তার নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বলে জানা যায়। এলাকার লোকজন তাকে ঘিরে সন্দেহ শুরু করে। তার রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান সকলেই, আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় সংক্রমণের। স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে ফের তাকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই সংক্রান্ত ওয়ার্ড না থাকায় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় পুনরায়। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে প্রশাসন।