দিনে দিনে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ। গতকাল কলকাতাতেও থাবা বসিয়েছে মারণ চিনা ভাইরাস। কীভাবে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস, কীভাবে সারতে পারে, কোন পদ্ধতিতে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। কিন্তু যা রটছে, তার সত্যতা ঠিক কতটা? অনেকেই নানা গুজবে কান দিয়ে আরও বেশি করে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে গুজব রুখতে শেষমেশ আসরে নামল কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালে হতে পারে জেলও। এদিন টুইট করে এমনটাই জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
মঙ্গলবার রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ আমলার ছেলে সংক্রামিত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। আপাতত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পৃথক ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তারপর থেকেই কলকাতায় করোনা আতঙ্ক যে জাঁকিয়ে বসেছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই মারণ চিনা ভাইরাস প্রসঙ্গে যাতে কোনও গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেই নজর কলকাতা পুলিশের। সম্প্রতি টুইট করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তিনি লেখেন, ‘গুজবে কান দেবেন না। সত্যতা যাচাই করার আগে কোনও কিছু বিশ্বাস করবেন না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিন। নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন।’
করোনা সংক্রমণ রুখতে আগেই সতর্ক হয়েছে লালবাজার। পুলিশকর্মী, আধিকারিক থেকে বহিরাগত প্রায় সকলেই ব্যবহার করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এমনকি মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। লালবাজারে ঢোকার মুখেই বহিরাগতদের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। তাঁদের থার্মাল স্ক্যানও করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।