করোনা ভাইরাস রুখতে অর্থনীতির একাধিক দরজা বন্ধ করছে কেন্দ্র৷ সীমান্তগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ৷ আমদানি রফতানি বন্ধ৷ যার নির্যাস, বড়সড় আর্থিক মন্দার কোপে পড়তে চলেছে বিশ্ব। সে বিষয়ে অশনিসঙ্কেত দেখছেন অর্থনীতিবিদরা৷ বহু মানুষ চাকরি হারাতে পারেন৷ এই অবস্থায় বাঁচাতে মানুষের হাতে অর্থ জোগানের উপরেই জোর দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা৷ অবস্থা যে পর্যায়ে যাচ্ছে, তাতে খুব শীঘ্রই প্রবল অর্থকষ্টের সম্মুখীন হবেন বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষ৷
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই প্রকোপ থেকে উদ্ধার পেতে হলে ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম বা বিশ্বব্যাপী নূন্যতম আয় বাড়াতে হবে৷ বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদই ইউনিভআর্সাল বেসিক ইনকাম বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছেন৷ কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্বে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে৷ বিশেষ করে যাঁরা প্রতিদিনের আয়ে দিন গুজরান করেন, তাঁদের আয় বন্ধ৷ সে ক্ষেত্রে ইউনিভআর্সাল বেসিক ইনকাম বাড়িয়ে অর্থনীতির এই বিপুল মন্দার সঙ্গে যুঝতে হবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য শমিকা শুক্লার কথায়, ‘আমরা প্রবল অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাই ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকামের মতো উপায় নিয়ে এখনই ভাবনা চিন্তা শুরু করতেই হবে৷ না হলে বিশ্ব অর্থনীতি ছারখার হয়ে যাবে৷’
ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই)-এর উদাহরণ হল, আমেকিরায় আলাস্কা পার্মানেন্ট ফান্ড, ব্রাজিলে দ্য বলসা ফ্যামিলিয়া, তেলঙ্গনায় রয়েছে রাইতু বন্ধু স্কিম৷ রেশনের ক্ষেত্রে আধার-লিঙ্কড ব্যবস্থাকেও খানিকটা ইউবিআই বলা যায়৷
ভারতের এক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাসের জন্য যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদ্ধতি চলছে, তা কিছু দিন পরেই অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কর্মহীনতায় রূপান্তরিত হবে৷ সোজা ভাষায় যাকে বলে, প্রচুর মানুষ চাকরি হারাবেন৷
সিনেমাহল, শপিংমল থেকে শুরু করে সব বন্ধ৷ এর বিরাট আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে যুঝতেই হবে বিশ্বকে৷ ভারতও বাদ যাবে না৷ আজ অর্থাত্ বুধবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৭ হয়ে গিয়েছে৷ দেশের বেশির ভাগ রাজ্যেই ঢুকে পড়েছে করোনা৷ মুডিজ বলছে, করোনা ভাইরাসের মহামারির জেরে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশের নীচে চলে যাবে৷