আশঙ্কা ছিলই। এবার তাতেই সিলমোহর পড়ল। মঙ্গলবার ইউরো ২০২০ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ইউরোপিয়ান গভর্নিং বডি। চলতি বছর বসছে না এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আসর। এদিন উয়েফার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, এবছর অনুষ্ঠিত হবে না ইউরো কাপ। ঘোষিত হল নতুন দিনক্ষণও। আগামী বছর ১১ জুন শুরু হবে টুর্নামেন্ট। চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবার তৈরি হল এমন পরিস্থিতি। এর আগে কখনও এই টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে হয়নি। কিন্তু করোনার কোপে এবছর এই আয়োজনও বাতিল করতে বাধ্য হলেন উদ্যোক্তারা।
অতিমারির জেরে ইউরোপের প্রায় সব দেশেই ঘরোয়া লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের সব ম্যাচও। এই দু’টি টুর্নামেন্টেই শেষ ষোলো পর্যায়ের খেলা চলছিল। এখন ইউরো এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সব দেশই তাদের ঘরোয়া লিগ শেষ করার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ শেষ হওয়ারও একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
ইউরোর ইতিহাসে এই প্রথম টুর্নামেন্ট এক বছর পিছিয়ে গেল। তাই এই টুর্নামেন্টকে ইউরো ২০২০ আর বলা যাচ্ছে না। এখন বলতে হবে, ইউরো ২০২১। অবশ্য ২৪ দেশকে নিয়ে ইউরোপের এই ফুটবল টুর্নামেন্টই শুধু নয়, ১ লক্ষ ৮০ হাজার সংক্রমিত মানুষের কথা মাথায় রেখে আরও অনেক টুর্নামেন্টই বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবারই ইউরোর মতোই এক বছর পিছিয়ে গেল কোপা আমেরিকাও। যে ঘোষণা করেছে লাতিন আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। এই বছরের ১২ জুন থেকে ১২ জুলাই লিয়োনেল মেসি, নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদের নিয়ে এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী টুর্নামেন্ট হতে পারে পরের বছর (২০২১) ঠিক একই সময়ে।