করোনা রুখতে এ বার রাজ্যের ষাটোর্ধ্ব বিধায়কদের নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন দেওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা বিশ্বের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, করোনায় বেশি কাবু হচ্ছেন বয়স্ক ব্যক্তিরাই৷ করোনার কোনও ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি৷ নেই ওষুধও৷ করোনা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে তা নিউমোনিয়ার আকার নিচ্ছে৷ তাই মঙ্গলবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রবীণ বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বললেন, অ্যান্টি-নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নিন।
মারণ জীবাণুর সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে ভারত-সহ গোটা পৃথিবীতে। মৃত্যুমিছিলও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই সংকটের মুহূর্তে বাংলার করোনা চিত্র অপেক্ষাকৃত ভাল। এখানে এখনও পর্যন্ত কারও শরীরে কোভিড-১৯ জীবাণু মেলেনি। আর পরিস্থিতির যাতে এতটুকুও অবনতি না ঘটে, তার জন্য আগাম সতর্কতা হিসেবে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। জনবহুল যে কোনও জায়গা বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ থাকছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনও। কিন্তু মঙ্গলবার, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনে বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন সব বিধায়ক, ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকারও। আর সেখানে জলপাইগুড়ির কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মাকে কিছুটা অসুস্থ দেখায়। তাঁর কাশি হচ্ছিল।
তা দেখেই স্পিকার তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরামর্শ দেন, নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক নিতে। সুখবিলাস বর্মার পাশাপাশি প্রবীণ বিশেষত ষাটোর্ধ্ব বিধায়কদের প্রত্যেককেই তিনি ভ্যাকসিন নেওয়া পরামর্শ দেন। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পরিসংখ্যা বলছে, প্রবীণদের শরীরের করোনা ভাইরাসের থাবা বসানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতে যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সকলেই ষাটোর্ধ্ব। প্রথম মৃত্যু কর্ণাটকের বৃদ্ধের বয়স ৭৬ বছর, দিল্লীর মৃত মহিলা ৬৯ বছর বয়সী এবং মহারাষ্ট্রের বৃদ্ধের বয়স ৬৪ বছর। চিকিৎসকরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন, প্রবীণ ব্যক্তিদের সাবধানে থাকতে হবে। এসব বিবেচনা করেই বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, বয়স ৬০ হলে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন নিন।